রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সিলেট নগরীর মধুশহীদে ইসকন মন্দিরে হামলা চেষ্টার ঘটনায় আটকৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনাটি তদন্তের লক্ষ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সিলেট জেলা স্টেডিয়াম ভবনের একটি কক্ষে এলাকাবাসীর সাথে বৈঠক করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। পরে উভয় পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে ঘটনার সময় আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই বৈঠকে সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন, সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার কামরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, সাবেক কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধার আবদুল খালিকও ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় মধুশহীদ জামে মসজিদের বিপরীতে ইসকন মন্দিরে ‘ভক্তবেদান্ত ন্যাশনাল স্টুডেন্টস কম্পিটিশন’ এর বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা চলছিল। মন্দিরের ভেতর থেকে তখন উচ্চস্বরে গান-বাজনা ও বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ আসছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মুসল্লিরা। জুম্মার নামাজের পর মসজিদের মুসল্লিরা সীমানা প্রাচীরের বাইরে থেকে ইসকন মন্দির লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এসময় তারা রাস্তার উপর নির্মিত ইসকনের একটি গেইট ও পার্শ্ববর্তী একটি ডেন্টাল ক্লিনিক ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশের গুলিতে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক নারী কাউন্সিলর জেবুন্নাহার শিরিনসহ ৫ জন আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অন্তত ২০ জনকে আটক করে। এদিকে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক কাউন্সিলর আবদুল খালিক।